পটভূমি ও ইতিহাস
মেহেরপুর টিএসসি:
এই প্রতিষ্ঠান ১৯66 সালে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল ও ফার্মমেশিনারী টেকনোলজি দিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ওয়েল্ডিং এবং অ্যাপারেল টেকনোলজি চালু করা হয়। কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েকবার কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
অবস্থানঃ এটি মেহেরপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির পূর্ব পাশে সরকারি কলেজ ও উত্তর পাশে ফায়ার সার্ভিস অবস্থিত।
অবকাঠামোঃ ৪.৩ একর প্রতিষ্ঠান চত্বরে 5 তলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন, 4 তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন, একটি মসজিদ ও 2 তলা বিশিষ্ট 2টি ওয়ার্কসপ আছে।
কোর্স কারিকুলামঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড দ্বারা এখানকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 2 বছর মেয়াদী এসএসসি ভোক ও এইচএসসি ভোক এর মোট আসনসংখ্যা-4০০টি (প্রতি বছর)। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় 2 বছর মেয়াদি এসএসসি ভোক ও এইচএসসি ভোক কোর্স রয়েছে। নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।
ভর্তির যোগ্যতা :
ষষ্ঠ শ্রেণি: পিইসি / পঞ্চম শ্রেণি পাশ
নবম শ্রেণি: জেএসসি / অষ্টম শেণি পাশ
একাদশ শ্রেণি: এসএসসি (ভোক) পাশ
শিক্ষার্থীদের সুবিধাঃ
১। দেশের সকল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের মত এখানেও প্রতি বছরে বেতন, সেশন ও ভর্তি ফি একত্রে ৯৯০/- টাকা মাত্র।
২। উপবৃত্তিঃ প্রতি 6 মাসে ছাত্রদের 65% এবং ছাত্রীদের শতভাগ সরকারি 2০০০/- টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
গ্রন্থাগারঃ গ্রন্থাগারটিতে টেকনোলজি ভিত্তিক সহায়ক গ্রন্থ , সাহিত্য , ধর্ম , ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বইয়ের সমাহার রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস